লাল গাঞ্জিয়া চাল হলো একটি আদি দেশী জাতের ধান থেকে তৈরি লাল চাল। এটি বাংলাদেশে, বিশেষত টাঙ্গাইলের মধুপুরের চরাঞ্চল এবং ময়মনসিংহের বিখ্যাত গাঞ্জিয়া ধানের চাল।
চাল দেখতে: এই চাল চিকন, লম্বা এবং প্রাকৃতিকভাবে লাল রঙের হয়।
ধানের জাত: এটি একটি দেশী জাতের ধান, যা সাধারণত আমন ধানের প্রজাতিভুক্ত এবং অগ্রহায়ণ মাসে পাকে। এটি মূলত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার চরাঞ্চলের নীচু জমিতে চাষ করা হয়।
চাষ পদ্ধতি: গাঞ্জিয়া ধানের আবাদ ঐতিহাসিকভাবেই কম সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে হয়ে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না।
স্বাদ: এই চালের ভাত অত্যন্ত সুস্বাদু হয়।
প্রক্রিয়াকরণ: এটি প্রায়শই ঢেঁকি ছাঁটা বা সনাতন পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, ফলে চালের বাইরের লাল আবরণ (ব্র্যান) আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বজায় থাকে।
লাল গাঞ্জিয়া চাল আঁশযুক্ত বা ফাইবার যুক্ত হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী:
হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য: এতে থাকা ফাইবার রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ধরনের ব্লক তৈরি হতে দেয় না, যা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে সেলেনিয়াম নামের একটি উপাদানও আছে, যা হার্টের জন্য উপকারী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: এটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) যুক্ত খাদ্য। এর ফলে হজমের পর রক্তে সুগারের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে ওজন কমাতে এটি সহায়ক।
পরিপাকতন্ত্র: আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সাধারণ ভাতের পাশাপাশি এই চাল থেকে চালের গুঁড়া, খই, চিঁড়া ইত্যাদি তৈরি করা যায়। তবে মুড়ি কিছুটা চিকন হয়।
| Specifications | Descriptions |
|---|---|
| No Specifications | |
Lorem, ipsum dolor sit amet consectetur adipisicing elit. Exercitationem, facere nesciunt doloremque nobis debitis sint?